শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
এমভি সুরভী-৮ লঞ্চে খুন হওয়া নারায়নগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মী আখি আক্তার (শারমিন) এর হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। গ্রেফতার হওয়া সুমন(৩২) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার নকবুল্লা সিপাহীপাড়া এলাকার মানিক সিপাহীর ছেলে এবং ঢাকার সদরঘাটের ১নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ি। সোমবার (২২ জুলাই) বেলা ১ টায় বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ র্যাব-৮ এর সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক মেজর খান সজিবুল ইসলাম গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানান, মোবাইল ফোনে রং নম্বরের কলের সূত্র ধরে আখির সাথে সুমনের পরিচয় হয়। যা থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে আখির সাথে ঢাকার সদরঘাট থেকে ১৯ জুলাই সুমন লঞ্চযোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এসময় সুমন এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফদের একটি কেবিন ৬ শত টাকার বিনিময়ে ভাড়া নেয়। রাত ১১ টার দিকে সুমন গার্মেন্টস কর্মী শারমিনকে কু-প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শারমিন বিবাহবহির্ভূত কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুমন। ২০ জুলাই সকালে সুরভী-৮ লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে পৌছালে সুমন আঁখির মরদেহ ওই স্টাফ কেবিনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, ঘটনা জানার পর থেকেই র্যাব-৮ এর সদস্যরা তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরাতার মধ্য দিয়ে আত্মগোপনে থাকা সুমনেকে ভান্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে রোববার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যায় সুমন নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং আখির আর এক নাম শারমিন তাও জানায়। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে উভয়ই তাদের পূর্বের বিবাহ সম্পর্কিত তথ্যাদি পরষ্পরের নিকট গোপন রাখে। উল্লেখ্য নিহত আখি আক্তার ওরফে শারমিন নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী নগরের আদমজী ইপিজেড এর অনন্ত অ্যাপেয়ারেল্স লিমিটেড এর একজন অপারেটর ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুরের বড়পুইয়াউটা এলাকার বজলু বেপারীর মেয়ে।